Thursday, January 26, 2023

মুক্তগদ্য
----------
 
লেখক, পাঠক প্রকাশনা ও জ্ঞানভিত্তিক স্বশিক্ষা
**************************************
 
লেখক কি লিখবে পাঠক তা জানে না। পাঠক বই পড়ে তার নিজের প্রয়োজনে। সাহিত্য অন্বেষায় জ্ঞান আহরনের জন্য। বিষয়ের বৈচিত্র বাড়িয়ে জ্ঞানকে হালকা করে ধারন করা সহজ হয়। পড়তে পড়তে পাঠক তার জ্ঞানকে সমঝোতা করে পেয়ে যান প্রিয় রাইটার। পাঠকের কথা চিন্তা করে লিখতে হয় না। রিডার, লেখককে এমন চিন্তার দায় সার্বক্ষণিক ভাবনা থেকে মুক্তি দিন। লেখার যথাযথ মর্যাদা দিতে পারেন পাঠকই। পাঠকের উচিত দেদারসে বই পড়া। লেখকের কাজ সাহিত্য করা, শুধু লিখে যাওয়া। তার লেখনি থেকেই আমরা দেখি তার পারিপার্শ্বিক যাপিত সময়ের প্রতিচ্ছবি। প্রকাশকের উচিত আরামে বই প্রকাশ করে স্মার্ট কমার্শিয়াল মার্কেটিং পদ্ধতিতে পাঠকের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা। আদতে এমন ভাবনায় কাজ হয় কি? হয় না। বিজনেস ক্লাস বিহিন স্টেজ থেকে লিটারেচার ফোকাস কল্পনাতিত কঠিন। সাহিত্যটা কি? তা কি জানা জরুরি? এটি কি পাঠকের দায়? ধরুন কিছুই না তবু কিছু। গ্রহন এবং বর্জনের কোয়ালিটি অর্জনের পরই নিজেকে ভেরিফাই করা যাবে সাহিত্যের সম্যক ধারনা। আপনি উপরে আকাশের দিকে উঠতে থাকলে কতটুকু উঠতে পারবেন? অনেক উপরে উঠেও কি হোয়াইট লেভেল ক্রস করা সম্ভব? ঘনত্ব তা করতে দিবে না। পানির খুব গভিরে কি যাওয়া যায়? ওখানেও ঘনত্ব আটকে দেবে। আমার ধারনা শতভাগ পাঠকই এ বিষয়ে স্বচ্ছ নয়। সেলফ মেমোরি বিট খুব হাইলি ইফেকটিভ হয় না। ক্লিয়ার বাংলাই তো দেখি আজো অনেকের বোধগম্য নয়। লিটারারি ক্রিয়েশান বাস্তবতা আজো জটিল অলস শ্রেনির পাঠকের কাছে। সাহিত্যের প্রকৃত পাঠক হয় না। যে সাহিত্য পঠিত হবে না তা প্রথমেই বর্জন করতে হবে। আমাদের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতির স্বশিক্ষা এখনো কত শত বছরের অপেক্ষা তা বোঝাই কিভাবে? এমন ভাগ্যমন্দ জাতি হয়ত পৃথিবিতে খুব কমই মিলবে! পরিহাসে অনেক অগ্রজের মুখে শুনেছি সাতকান্ড রামায়ন শেষে পুনরায় পাঠকের প্রশ্ন রাবন কি দেবতা? লেখক পাঠকের কথা চিন্তা করবেন না। কিন্তু বর্তমান প্রযুক্তি জ্ঞান বিজ্ঞানের কথা মাথায় রাখা দরকার। অর্থাত স্মার্ট প্রাযুক্তিক মাধ্যম। ভাষাকে না পেচিয়ে দেশ কাল অতিক্রম করে পাঠককে দ্রুত কমুনিকেট করা। চাইনিজ সাহিত্যে রূপকথার ছড়াছড়ি কিন্তু বাস্তব জিবনের রিফ্লেক্ট তাদের সম্পূর্ন ভিন্ন। সাহিত্যকে সাহিত্য জেনেই কেবল তারা শিক্ষিত আধুনিকতা রপ্ত করেছে। পাঠক বিমুখ হয় লেখকের এমন লেখা উচিত নয়। লেখকের যেমন লিখে তৃপ্তির সমাপ্তি হয় না পাঠকেরও তেমন বই পড়ে তৃপ্তি ঘটে না। কখনো রিডার এক লেখকের বিরক্তি সামগ্রিক লিটারারি বেড ইফেক্ট ক্রিয়েট করেন। ঠিক নয়, জার্নি একসময় থেমে যায়। লেখক বিরক্তিতে হতাশ হতে হতে অফ হয়ে যান। লেখকের কোন লেখা পাঠ করে যদি রিডারের চিন্তা বিকৃতি হয় সেই দায় কি রাইটারের হয়? লেখার চিন্তন বিশ্ব ধারন করে পাঠকের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করাই লেখার প্রকৃত কাজ। কথা হচ্ছে লেখক পাঠক দুজনেরই উচিত এগিয়ে যাওয়া উন্নয়নের দিকে। পাঠককে হতে হয় ইন্সপায়ার্ড কো অপারেট মাইন্ডেড। কখনো কখনো এমন দেখি যে, লেখকের লেখা পাঠের পর পাঠকের সমস্ত বোধ নাড়িয়ে দিয়ে তার চেতনাকে জাগ্রত করার পরও লেখকের প্রতি শিক্ষিত সম্মানটুকু তৈরি হয় না। তাহলে লেখকের লেখার ক্রিয়েটিভিটি কি দাঁড়ালো? লেখক কি লিখলেন? তার ভাষা আসলে কি? অথচ জাতি হিসেব আমরা ভাষার জন্য কত না মরিয়া! রিডার, কাজ ভুলে যাবেন না, আপনি যখন পাঠরত থাকেন তখন নিজের ভাষা আপন অন্তরের ট্রান্সপারেন্ট ওয়ার্কিং এ ব্যস্ত থাকে। আমরা সেই লেংগুয়েজ নিয়ে সঠিক চিন্তা করি কিনা, ভাবি না। আহা, আমরা ভুলে যাই, চর্চিত একটি ভালো ভাষা আমাদের ভালোবাসায় টানে চিরকাল।
ভালো কিংবা মন্দ সাহিত্যের দোষগুণ বিবেচনা নিশ্চই সাধারণ পাঠকের মধ্যে অপঘাত সৃষ্টির কারণ। পাঠের সৃজনি বা পাঠের সাহিত্য কি সেটাও জানা জরুরি। লেখকদের এই তথ্যটি আপডেট খুব কমই হয়। কখনো সংকোচে পাঠক প্রকাশ করে না আবার কখনো লেখকের যুৎসই ফিডব্যাক আসে না। উদ্ভাবন রসায়ন জানা না হলে আস্বাদনটাই বা কি? পাঠক অজ্ঞ থাক‌লেই মি‌সিং ক্রি‌য়েট হয়৷ সহজেই লেখা খারিজ বা অবমাননায় ফেলে রাখেন। নাড়ির টান পড়ে না ফলে লেখ‌কের মু‌ক্তি মি‌লে না! শুধু লেখার ভবিষ্যতই হারায় না, বোধ বিবেচনা দ্রুতই আনেবলেবল হয়ে বর্তমান ফাও চ‌লে যায়৷ এজন্য রিডারকে যে এ‌কেবা‌রে লেখক হ‌তে হ‌বে তাও নয়! অজ্ঞতায় সা‌হি‌ত্যের মি‌সিং না ক‌রি! আমাদের পাঠক, লেখক, প্রকাশনা কোন ধারনাই সঠিকভাবে এস্টাব্লিস হয়নি। সামগ্রিক বাংলায় আমরা নজর দিলে দেখবো যে, আমাদের শিক্ষিত সংস্কৃতি বিকাশের অগ্রগতি ডিজেবল হয়ে আছে। নিজের ব্যর্থতাকে অনেকেই স্বিকার করে না অহেতু লেখককে দোষারূপে জর্জরিত করেন। তা কি ঠিক? সাহিত্যের সকল বাস্তবতা লেখকের জিবনভিত্তিক নয়। রাইটার অনবরত লিখে চলেন পাঠক এবং ভবিষ্যৎ ইতিহাস ভেলু ক্রিয়েট হওয়ার জন্য। মূল্যায়িত হবার পূর্বে জানা দরকার, সাহিত্য মাধ্যমের শিল্প বা ব্যবসাও খুব বিশাল উল্লেখযোগ্য নয়। সামান্য মাত্র। দেশে বছরে টোটাল পেপার সেল পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার বেশি নয় এখনো। এর মধ্যে লেখকের বিনিময় প্রাপ্তিটা নিশ্চিত করা জরুরি। অবহেলায় আমাদের সমাজ মানস আপন শিল্পকেই ধ্বংস করে। লোভের ক্ষমতায় নিকৃস্টের শুভবোধ জাগে না। বুদ্ধি বা জ্ঞান হরনের ধান্দা করা বোকামি। সরাসরি পরিচয় সূত্রে জ্ঞান দিয়ে যদি কোন উপকার পান তবে তা ক্ষেত্রবিশেষ অর্থ মূল্য দিয়ে মূল্যায়িত করুন। জ্ঞান বুদ্ধি বাটপারি নয়। যার যে জ্ঞান নিয়ে জন্ম গ্রহন করে তার সেই জ্ঞান নিয়েই পৃথিবি থেকে বিদায় হয়। দেশ বিচারে অন্যান্যের মতো লেখক জিবন রাজনৈতিক। খেয়ে পরেই বাঁচতে হয়। আপনার হিন মনোভাব ধরে এখানেও স্ট্যাটাস ক্ষয় হচ্ছে। লেখক জিবনে বিরক্তি ভবিষ্যৎ সাহিত্যের জন্য আরামদায়ক না। নিজের জ্ঞানের জেগে উঠার উৎসটুকু আমরা স্বার্থপরের মতো ভুলে যেতে থাকি। যেন আমার জ্ঞান বইয়ের কাগজে মুদ্রিত অক্ষরগুলো থেকে বিধাতা অটো লাগিয়ে দিয়েছেন! হায়! এমন বোকামি নামক চাতুর্য় থেকে লেখকের মুক্তি মেলেনি।
প্রকাশনা বিষয়ে জ্ঞানভিত্তিক একটা খুব জটিল সময়ে আমরা উপনিত হয়েছি। প্রকাশনা প্রসংগে আমাদের প্রথমেই মনে আসে শুধু মুদ্রিত বই। এটি ভালো গুণ। দির্ঘকাল যাবৎ আমরা যেভাবে জেনে এসেছি, দ্যাটস দ্যা পারফেক্ট ওয়ে। কিন্তু চেঞ্জগুলো আমাদের বোধকে কড়া নাড়ে না। এই একটি বিষয়ে আটকে না থেকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিও উপলব্ধি করা। প্রযুক্তি মাধ্যম আমাদের সাহিত্য ভান্ডার উন্মুক্ত করে দিয়েছে আরো শতগুন এবং সহজলভ্য। বিভিন্ন অনলাইন সহ সোসাল মিডিয়ায় আমরা পাই আরো দ্রুত এবং খুব কাছের স্পন্দন হিসেবে। যেমন উন্মুক্ত হয়েছে আমরা তেমনই ভেলু ক্রিয়েট করতে পারি। একসময় কোন প্যাডের কাগজ আর কলম নিয়ে নদির কিনার বা গাছের শিতল ছায়ায় বসে ভাবনা করে লিখে ফেলা যেত কোন কবিতা বা রচনা। এখন গ্রামিন দৃশ্যপটের এমন স্থান হারিয়ে হচ্ছে কর্পোরেট সিটি, ডিজিটাল স্কাই লাইনিং প্ল্যান। এইসব পরিবর্তনের মধ্যে লিখতে হবে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইল বাটনে আঙুল চালিয়ে বা টাচ করে। হয়ত নতুন ধারার আরো যেসব প্রযুক্তি আসবে আমাদের মাঝে, অভ্যস্ত হতে হবে সেসবেও। প্রাযুক্তিক এই মাধ্যমগুলো ইন্টারনেট ভিত্তিক এবং খুব হাই এক্সপেন্সিভ। কাজেই পুরনো উদহরন একেবারেই অনর্থক এই সময়ে। যুগ যুগ ধরে আমরা বাংলাপাঠের একটা ফল উপলব্ধি করেছি। রস উপভোগে বাস্তবে দেরি করা। যেহেতু লেখক এবং পাঠক নিবিড় একটি সম্পর্কের। এই দুয়ের জ্ঞানভিত্তিক ধারনাগুলো সমাজ মানসে প্রতিষ্ঠা হওয়া জরুরি। আমি লক্ষ করি, মূল জায়গাটি আমাদের ধারনা থেকে অনুপস্থিত হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাদের পাঠপর্ব ছাড়া এগুচ্ছে না। পাঠপর্ব একটা নির্দিস্ট জায়গায় পৌঁছে সমাপ্ত হলেই কেল্লাফতে। পুনরায় অজ্ঞতার দিকে যাত্রা ছাড়া শিক্ষা সংস্কৃতিকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় না। সর্বত্র আমাদের চেতনার বাতিঘর খুব ঋজু বর্তমান। স্বশিক্ষিত চেতনার সমাজ বিনির্মান ব্যতিত হিন সংস্কৃতির অবসান হবে না। মনে রাখা জরুরি, পৃথিবিতে মানুষ বেড়েছে। জ্ঞানের তথ্য যেমন প্রকাশিত হয়ে বিস্তার হয়েছে অজ্ঞানের তথ্য তারো চেয়ে বহুগুনে চেতনাকে খেয়ে ধর্মিয় অশিক্ষার বিজ আমাদের অবচেতন মনে সঠিকভাবে স্থাপনের উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে। মনে হচ্ছে আমরা সকলে সঠিক চেতনায় কাজ করে চলেছি! আদতে তা নয়, বোধ বিশ্লেষন খুবই সময় সাপেক্ষ হয়ে যাচ্ছে। সেলফ এডুকেশান বা স্বশিক্ষার প্রসার এবং নিজেকে যাচাই করার সিকুয়ালাইজেশান দ্রুততর হোক মানুষের। নইলে আমরা হারাবো আমাদের সাহিত্য, সোসাল হিউম্যান ভেলু ও জাতিয়তা।
লেখক মাত্রই কি রাইট পারসন? রাস্ট্র বিনির্মানে সঠিক হিতৈষনা? অধিক সত্য বটে কিন্তু বাস্তবিক প্রতিফলন তা নয়! লেখক তো একজন মানুষ, অন্যান্যের মতোই! বিশেষ ব্যক্তি হিসেবে আমরা যুগ যুগ পার করে এসেছি শ্রদ্ধাবনত হয়ে। মেনেছি আদর্শ হিসেবে, তা অমূলক নয়। কেননা আদর্শ তো চিরন্তন, প্রত্যেকের নিজের সম্পদ। সর্বাত্মক প্রচেস্টায় তা প্রতিষ্ঠা করার বিষয়। আপনার সময় এবং আদর্শকে সবাই উচ্চে তুলে প্রদর্শন করবেন এটাই তো স্বাভাবিক। এবার বুঝুন তাহলে, আমাদের সংস্কৃতিতে আমরা কতটা সফল? নিজের লিটারারি থিংকিং সেলফ এডুকেশান এ কোন রেটিং প্রাপ্ত হয় কি? প্রতিবেশ থেকে কেউ আমরা ভেবে দেখি না আমাদের লস! চিন্তার স্বাধিনতায় বেঘাত ঘটলে আদর্শ প্রতিষ্ঠা হয় না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চির স্বীকার্য একজন আদর্শ। আদর্শের অস্তিত্ব কিভাবে টিকে ছিলো? তার জমিদারির প্রধান ব্যবসা কি ছিলো? অনেক ব্যবসার মধ্যে প্রধান ছিল বেশ্যাবৃত্তি, আফিম, সুদ। এইসব বাস্তবতা দিনের পর দিন অতিক্রম করে সাহিত্য উন্নিত হয়েছে। কোন বেড ইফেক্ট শতবর্ষেও প্রভাব ফেলেনি। আমরা সাহিত্য ভালোবাসি, আমরা সাহিত্যের প্রতি শ্রদ্ধাশিল। এটাই আমাদের দেশের জাতিয় চেতনা এবং ঐতিহ্য। অন্য কোন দেশ থেকে আমরা কিন্তু এরকম চেতনাভিত্তিক খবর পাই না এবং সঠিক উপলব্ধির ধারনা হয় না। তবে স্বশিক্ষা আমাদের চেতনাকে নাড়ায় আমরা জেগে উঠার চেতনায় আশ্চর্য হই। হায়, এই কি আমাদের সময়! বহুমাত্রিক জোতির্ময় লেখক হুমায়ূন আজাদ এর কথা ভাবা যায়? লাখো চেতনায় আলোক শিখা জ্বেলে তার পরিনতি সাহিত্যকে কোন সান্ত্বনা দিলো না। তিনি নিজের লেখার প্রতি খুব বেশি কনফিডেন্ট ছিলেন। এত বেশি কনফিডেন্ট ছিলেন যে, তিনি আর কোন লেখককে শিক্ষিত জ্ঞানি মনে করতেন না। কিন্তু অর্থ, সম্পদ, সাম্রাজ্য হরন এমনকি ক্ষমতা লিপ্সু ছিলেন কি? ভাবুন, তেমন কোন জনশ্রুতি কিন্তু নেই। এই হলো জ্ঞান অবক্ষয়ের ধন্দ। আমাদের জাতিয় অজ্ঞতা একটি চাটখিলা জট, তা থেকে মানুষ রিলিজ হয় না! এমনকি স্বয়ং রাইটারের জ্ঞানও সিমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে একটি নির্দিস্ট জায়গায়। যেখানে অবস্থান করে সেই জায়গা থেকে ঘুটেকুরে ভাষা দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ট্রান্সপারেন্ট হচ্ছে না। রাইটিং, লেংগুয়েজ, রাইটার এগুলোর স্মার্ট টেকনিকাল কোয়ালিটি যখন শো হয় না তখন দেশের সামগ্রিক পরিচয় খুব হিন দশার হয়। কথায় ছোট্ট জনশ্রুতি আছে না? কোয়ালিটি লেস বাট মেদনির পা ঘাড়ে ব্যর্থ মানুষের! আমরা আমাদের চেতনাকে হারাচ্ছি না তো? মাঝে মাঝে আস্থা ভেঙে যায়। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সংস্কৃতি ভাঙার সেতু আগেই আভাস দিয়ে গেছেন। সেতু পার হয়ে হুরমুর করে চেতনায় হানা দিয়ে আসছে অপসংস্কৃতি। আপন রাজ্যে মানুষ আলোকিত হবে আপন আলোয়। জ্ঞান বিজ্ঞানও ক্রমাগত আপডেট হতে হতে উন্নতির দিকে থাকবে। কিন্তু বাস্তবে তা তো হচ্ছে না। ধর্ম পরিচয়ে ধর্মান্ধতার সমাজ জ্ঞানকেও গ্রাস করছে। তাহলে আমাদের করনিয় কি? রিডার এমন ভাবনা উদয় হয় কি? আপনার পাঠ, অনুভূতি প্রকাশ জ্ঞানভিত্তিক স্বশিক্ষায় ইফেক্টিভ কিনা? একটু খেয়ালি হয়ে ভেবে বিবেককে সজাগ রাখুন, আস্থায় রাখুন। আপনার জ্ঞানই আপনাকে সহজ সমাধানে উৎসাহিত করবে। মানুষ জন্ম কেন? একটি অন্তত এডুকেশনাল গুড ওয়ার্ক। আমাদের ব্রত হোক, মানুষ হিসেবে আমরা যেন পশুদের দেখে পশু সংস্কৃতির শিক্ষা এস্টাব্লিস না করি।